জয় বিভাজন আবদুল্লাহ যুবায়ের

জয় ভাস্কো দা গামা, জয় মাউন্ট ব্যাটেন, জয় বৃটিশ

যে বিভেদের বিষবৃক্ষ তোমরা রোপন করেছিলে

আমরা তাকে স্বজতনে লালন করে মহিরুহু করেছি।

বাঙালী হিসাবে আজ আমরা আর কেউ গর্বিত নই

কেউ আমরা স্বাধীনতার পক্ষের, কেউবা যুদ্ধ অপরাধী

কেউবা ভাল্লুক, মৎস শিকারী; কেউবা মৎস, শুধুই শিকার।

লড ক্লাইভের আত্মা নিশ্চয় এজেনে শান্তি পাবে যে

বাঙালীদের কাছে এখন তার চেয়েও বড় ভিলেন আছে।

আমাদের অভিধানে এসেছে মীর জাফরের প্রতি শব্দ।

দুঃখিত নবাব সিরাজুদ্দৌলা এবং শেরশাহ তোমরা বিহারি

আমাদের জাতির জন্ম তোমাদে মৃত্যুর আনেক পরে।

বাঙালীরা এখন আর বর্গীয়দের ঘৃণা করে না,

তাদের কাছে ঘৃনা করার জন্য এসেছে অন্যকেউ।

বিদেশী ব্যাংকগুলো আমাদের রক্ত শোষে বড়ই যতনে।

দেশ এখন পুতপবিত্র, কোটি টাকা ব্যয়ে ধুয়ে দিয়েছি

আমাদের আপছন্দের নাম, জতীয় সংগীতের গায়ে

লাগতে দেইনি ঘৃণীত কোন ব্যাংকের নাপাকি অর্থ ।

স্বাধীনতার জন্য যে বাঙালীরা দাঁড়িয়েছিলো বুলেটের সামনে

তাদের শব ব্যবচ্ছেদ হয় বিজ্ঞো গবেষকদের ল্যবরেটোরিতে

টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নেই কে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো কে রাজাকার।

আলুর ন্যয্য দাম পাবেনা বলে যে কৃষকটি ক্ষেতেই পচিয়ে দেয়

তার ঘামে ভেজা স্বপ্নের ফসল, সে আমাদের কেউ নয়;

ইলেকট্রিসিটির জন্য বাড়তি পয়সা দিতে কোনো আপত্তি নেই;

স্কুলে সবাই ছাত্র না হয়ে দু’একটা লাশ হলেও আমদের করার কিছু নেই;

নদীতে পানি না থাকলেও আমাদের মনে কোনো খোব নেই;

আমাদের কিবা করার আছে? সব দোষ ঐ মমতা ব্যানার্জির।

আমাদের দায়িত্ব শুধু বিভাজনের নয়া নয়া ত্বত্ত আবিষ্কার।

জয় শাষোণ শোষণ, জয় বিভাজন।

নির্বাচনের ইশতেহার

১)  প্রতি ৫ দ্বারা বিভাজ্জ্য সালের (১০,১৫.২০,..)মার্চ মাসে জাতীয় সংসদের নির্বাচন দেওয় হবে।

২) সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্র প্রধানের পদে কেও পর পর দুই মেয়াদের বেশী অধীষ্টিত থাকবে না।

৩) সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্র প্রধানের পদে কোন প্রার্থীর সবোর্চ্চ তিন মেয়াদ পূর্ণ হলে, সে আর উক্ত পদে প্রতিদ্বন্দীতা করতে পারবে না।

৪) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রহিঙ্গাদের পুর্নবাসন করা হবে।

৫) দেশের সকর প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিককে জীবনে অন্তত একবার বিচার কার্যক্রমে অংশ গ্রহনের সুযোগ দেওয়া হবে।

৬) দেশের সকল নাগরিকের একটি “নাগরিক নম্বর থাকবে” যা তার সকল বাংলাদেশ রাষ্টীয় কার্যক্রমে (জন্ম সনদ, ভোটার তালিকা, পাসপোর্ট,..) এবং অন্যান্য কার্যক্রমে (বিবাহ সনদ, চাকুরি, ব্যাংক হিসাব,..)একক পরিচয় বহন করবে।  

৭) শিক্ষা ব্যবস্থায়র সকল স্তরে প্রবেশের বয়স সীমা তুলে দিয়ে সকলকে অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়া হবে।

৮) সকল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার,..) সদস্য এবং তার পরিবারে সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, এবং সন্তান) জন্য সকল প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষয় (স্কুল ভর্তি, এবং চাকুরি) ১০% নম্বর বরাদ্দ থাকবে।

৯) কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অধ্যায়নকালীন চাকুরির ব্যবস্থা করা হবে।

১০) খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা বাংলাদেশের মানুষের এই পাচঁটি খাতে জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ ব্যায় হবে।

১১) বাংলাদেশের সকল নাগরিক বাংলাদেশী; এখানে আর কোন বিভক্তির সুযোগ থাকবে না।